মানুষের মধ্যে যদি রাগ বলতে কিছু থাকে তবে শেখ হাসিনাকে দেখে শেখা উচিত।
শেখ হাসিনার ভুল নিয়ে এখন বলছি না, তার গুনগুলো বলতেছি। হাসিনার পরিবর্তে বাংলাদেশের অন্য কেউ থাকলে বিএনপি, জামাত নামের কোন অস্তিত্বই থাকতো না বাংলাদেশে।
“আপনার স্ব পরিবার হত্যা করার পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব পেলে ঠিক কি করতেন?”
শেখ হাসিনাকে মোট ১৯ বার হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে-
গোপালগঞ্জে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জ ঙ্গী স্টাইলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা ছিল ইতিহাসের নিকৃষ্টতম একটা ঘটনা।
সেটা ছিলো তা লে বা ন স্টাইলে। সেদিন মঞ্চ টার্গেট করে দক্ষিণ পাশ থেকে একের পর এক গ্রেনেড হামলা হতে থাকে। মাত্র দেড় মিনিটে ব্যবধানে ১৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ হয় সমাবেশ স্থলে।
হামলায় মোট ২৪ নিহত হন, ৩০০ জন আহত। মূলত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই এমন পৈশাচিক হামলা চালানো হয়।
শেখ হাসিনার কয়েক হাত দূরেই একটি গ্রেনেড পড়েছিলো। ফটো সাংবাদিক জিয়াউল ইসলাম বলেছিলেন- “হঠাৎ ট্রাকের পাটাতনের ফাঁকে চোখে পড়লো আস্ত গ্রেনেড। সেটি বিস্ফোরিত হলে কি হতো ভাবতেও শিউরে উঠি এখনো।”
শেখ হাসিনাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দিয়ে ঘাতকের বুলেটবিদ্ধ হয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন বিশ্বস্ত দেহরক্ষী মাহবুব। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তারপরও মুহুর্মুহু গুলি করেছিলো শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে।
এরপর শুরু হয়েছিলে আরেক নাটক। জজ মিয়া নাটক, ঘটনার পর উল্টো পুলিশের লাঠিচার্জ, মামলা নিতে গড়িমসি, ভ্যানিটিব্যাগে সঙ্গে করে বোমা নিয়ে আশা।
মূলত ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার পর থেকেই আওয়ামিলীগ বিএনপির সম্পর্ক বেশি খারাপ হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা খুনীরা স্বীকার করার পরেও শেখ হাসিনা এরশাদ পতনের সময় বিএনপির সাথে এক হয়ে কাজ করেছিলেন।
১৯৯১ সালে নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় দুই প্রধান রাজনৈতিক দল পরস্পরের প্রতি খুব বেশি আক্রমণাত্মক ছিল না। তৎকালীন সংবাদপত্র পর্যালোচনা করে এ ধারণা পাওয়া যায়।
গনতন্ত্রের শুরু যেখানে হতে পারতো সেখানেই কবর রচয়িতা করতে চেয়েছে বিএনপি- ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতা ছাড়ার বদলে দলীয় সরকারের অধীনে এক বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজন করে। দেশের সবকটি বড় রাজনৈতিক দল সে নির্বাচন বয়কট করেছিল।
বিএনপি জামাত সহ এদের দোসররা সব সময় আওয়ামিলীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার বদলে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিলো।
২০০১ সালে প্রথমবারের মতো একটি নির্বাচিত সরকার হিসেবে ৫ বছর মেয়াদ শেষ করে সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব অর্পণ করেছিলো আওয়ামিলীগ। কিন্তু বিএনপি আবার নির্বাচিত হওয়ার পরেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়োগ নিয়ে একটা জঘন্যতম কাজ করেছিলেন। কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন সে জন্য বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
শেখ হাসিনা এমন পরিস্থিতিতে সব সময় রাজনৈতিক পাওয়ার ব্যাবহার করেছেন। কোন চোরা গুপ্ত হামলার আশ্রয় নেয়নি, কোন জ ঙ্গী দের সহচর বা ব্যাবহার করেননি। যে দেশের স্বাধীনতার নায়ক ছিলো শেখ হাসিনার বাবা এ ওয়ান ম্যান আর্মির ভূমিকা পালন করেছেন। তার স্ব পরিবার হ ত্যা য় কোন বিদেশি লোক নয় বরং অকৃতজ্ঞ বাঙালিরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সেদিন সহ অনেকবার নিশ্চিত মৃ ত্যু থেকে শেখ হাসিন মিরাকল ভাবে বেঁচে গেছেন।
২০০১- ২০০৬ সালে বিএনপি জামাতের শাসনামল –
১) আইভি রহমান হত্যাকান্ড
২) শাহ্ এএমএস কিবরিয়া হ ত্যা কান্ড
৩) আহসানুল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ড
৪) মমতাজ হত্যাকান্ড
৫) গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যাকান্ড
৬) অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যাকান্ড
৭) অধ্যাপক ইউনুস হত্যাকান্ড
৮) ডাক্তার মোজাম্মেল হত্যাকান্ড
(মোট হত্যাকান্ড ২৪ হাজার)
৯) ২১ শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা
১০) ৫০০ জায়গায় গ্রেনেড হামলা একই সময়ে
১১) ময়মনসিংহ সিনেমা হলে গ্রেনেড হামলা
১২) বাংলা ভাই, উর্দু ভাই
১৩) দশ ট্রাক অস্ত্র
১৪) বগুড়ার কাহালুতে আড়াইলাখ পিচ গুলি উদ্ধার ১৫)
ময়মনসিংহে আড়াই লাখ লিচ গুলি পরিত্যাক্ত উদ্ধার
১৬) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার খুন
১৭) হাওয়া ভবন
১৮) খাম্বা মামুন
১৯) বানিয়ার চরে গির্জায় গ্রেনেড হামলা
২০) বাশখালী তে ১৩ জন হিন্দু কে পুড়িয়ে মারা
২১) সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানুষিক অত্যাচার,
অনেক কেই বাধ্য করা দেশ ত্যাগে।
২২) নিজের মায়ের সামনে একজন হিন্দু মেয়ের উপর গ্রুপ
ধর্ষন
২৩) সারা দেশে কয়েকশো হিন্দু মেয়ে সহ অনেক
আওয়ামী ঘরানার মেয়ে ধর্ষিত নির্বাচনের প্রথম কয় মাসেই।
এর মধ্যে রাজশাহী ছিল অন্যতম।
২৪) সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দখলে নিয়ে সন্ত্রাসের
অভয় অরণ্য তৈরি করা, অনেক ছাত্রের জীবন অনিশ্চিত।
২৫) প্রশাসনে নিয়োগের নামে শিবির করণ।
২৬) বিসিএস এর প্রশ্ন পত্র ফাঁস প্রতিবার। শিবির
বেঁছে বেঁছে নিয়োগ
২৭) আর্মি থেকে শুরু করে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী পর্যন্ত
শিবিরের কর্মী নিয়োগ
২৮) প্রসাশনে তিনস্তর বিশিষ্ট জামায়াতী প্রতিরক্ষা ব্যূহ
তৈরি করা
২৯) এসপি কহিনুরদের উত্থান
৩০) সর্বহারা দমনের নামে অপারেশন ক্লিন হার্ট
করে সারা বাঙলায় আওয়ামী নিধন অভিযান
৩১) এরপর সন্ত্রাস দমনের কথা বলে রেব
তৈরি করে আওয়ামী নিধনের অভিজান
৩২) দেশ চারবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
৩৩) খালেদা জিয়ার ৪০০ সুটকেস নিয়ে বিদেশ গমন
৩৪) তারেক জিয়ার মালয়েশিয়াতে ২৮ হাজার
কোটি টাকা ধরা খাওয়া
৩৫) কালো চশমা হারিছ চৌধুরীদের উত্থান, বাবর জেলের ব্যাপক মার্কেট।
৩৬) মিস্টার ১০% হিসাবে শুধু নয় কালা জাহাঙ্গির
হয়ে পানের দোকান থেকেও চাদা উত্তোলন।
৩৭) রাজাকারের গাড়িতে পতাকা, জামায়াতের দম্ভ।
৩৮) চৌধুরী পাড়ায় মসজিদ নিয়ে মুসুল্লীকে গুলি করে হত্যা।
৩৯) চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের জন্য গুলি করে ১৯জন কৃষক
হত্যা
৪০) কুষ্টিয়ায় বিদ্যুতের জন্য গুলি করে কৃষক হত্যা
৪১) সারের জন্য কৃষক হত্যা
৪২) ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের উপর গ্রেনেড হামলা।
আরও অনেক আছে যা আপনারাও জানেন, জানে পুরা জাতি।
কিন্তু দুঃখ হল আমরা ভুলে যাই।
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় বাংলাদেশ একটি ভয়ংকর সময় পার করেছে। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দূর্নীতিবাজ দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করেছে টানা ৪ বার।
প্রত্যেকটা অভ্যুত্থান থেকে বিএনপি বারবার লাভবান হয়েছে। কোনটাই গন অভ্যুত্থান ছিল না, কিছু ছিলো সন্ত্রাসী অভ্যুত্থান, কিছু ছিল সামরিক অভ্যুত্থান।