লিখেছেন: শাহেদ বিন কাশেম
বিজ্ঞান ও আধুনিকতার চিপায় পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে
হাদিস বাতিল হয়ে যাবে।
ঢিলাকুলুপের হাদিস টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে।
আরব রাষ্ট্র গুলো খেলাধুলার হাদিস আগেই খেলে দিয়েছে। শত শত হাদিস বে-মানান হয়ে সহিহ হাদিসের বাইরে চলে গেছে।
অনেক হাদিস বাতিলের খুব কাছে।
হাদিসের বিনাশ কয়েক দশকের মধ্যে হলেও কোরান টিকে থাকবে আরো কয়েক শতাব্দি। কারন-
মুসলিমরা এখনো জ্ঞান ও সভ্যতার দিক দিয়ে বহু বছর পিছিয়ে আছে।
কোরান কোন বিজ্ঞান বা থিওরির বই না। অন্য ধর্মের লোকেরা কোনকিছুরআবিষ্কার চুরি করার জন্য পড়েনা,
এটা শ্রেফ ধর্মগ্রন্থ। এইটুকু বুঝতেই সমগ্র মুসলিমদের কমপক্ষে ১০০ বছর লেগে যাবে।
অনুধাবন করলেই বুঝতে পারবেন বিজ্ঞান যত দ্রুত প্রসারিত হবে ততই ধর্মগুলে ফিকে লাগবে।
–ভবিষ্যাতের বিজ্ঞান কেমন হবে তার একটা সাদৃশ্য তুলে ধরছি। ধর্মের অবস্থান কেমন হবে সেটা আপনারাই বুঝতে পারবেন…
“মানুষ যদি মস্তিষ্কের স্মৃতি আলাদা বা কপি করতে পারে তাহলেই মানুষ অমর। ওই স্মৃতি মেটাল ধাতবে/রোবটে ট্রান্সফার করে খুব সহজেই যান্ত্রিক মানুষ হওয়া যাবে। একটা সময় বডি ক্লোন করে জৈবীক দেহেও তা ট্রান্সফার করবে বিজ্ঞান।
তখন মৃত্যু বলতে বডি চেঞ্জ বুঝাবে।
প্রতিদিন ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের নতুন স্মৃতি কম্পিউটারে কপি হবে।
এক্সিডেন্ট, মার্ডার বা কোন ধরনের সমস্যা হলে যাস্ট নতুন করে আরেকটা বডি দরকার হবে।
সবকিছুই কপি থাকবে সুপার কম্পিউটারে।
ঠিক এইরকম পৃথিবীর পরিস্থিতিতে বর্তমান ধর্মের রূপ কি একই থাকবে? উত্তর “না”।
একটা ফেরেস্তা তখন বেকার হয়ে যাবে। মানুষের এই অমরের যুগে আজরাইল তার গুরুত্ব হারাবে।
কেউ আর তাকে পাত্তা দিবেনা।
এরকম ধীরে ধীরে আধুনিক বিজ্ঞান ধর্মের সব ফেরেসতা ও প্রভূদের অবসরে পাঠাবে।
বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয় ও মহাকাশ সম্পর্কিত তথ্য জানা না থাকলে আপনি হয়তো এসব শুনে অবাক হবেন।
অবাক হওয়ার আগেই আপনার অনেক কিছু জানা উচিৎ ছিলো।
আজ যা কল্পনা করা যায় কাল তা বাস্তবে রুপ দেয়া বিজ্ঞানের ইতিহাস।
আজ থেকে ৫০০ বছর আগের কাউকে
আপনি যদি বলতেন– “শত মাইল দূর থেকে চাইলেই একে অন্যের সাথে হাতে থাকা ক্ষুদ্র ডিভাইস দিয়ে কথা বলা যাবে এবং তাকে দেখাও যাবে” কেউ আপনার কথা বিশ্বাস করতো না। হাজার বছর আগে রেডিও, টিভি, বিদ্যুৎ, মোবাইল, বিমান, ইঞ্জিন, এসব কল্পনা করাই অসম্ভব ছিলো
আজ সেটা সম্ভব।
কিছু মানুষ আলোর গতিতে ট্রাভেল করার চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুমায়।
আবার কিছু মানুষ বিসমিল্লা বলে ডান কাতে শুয়ে হুরের গঠন কল্পনা করে ঘুমায়।
তারের সংযোগ ছারা ছবি , ভয়েস, ভিডিও ফাইল, গান প্রেরন করা যায়। এটা কোন ম্যাজিক না।
এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ফাইল পাঠানোর এই সিস্টেমটা সৌদি আরবের ইমামকে জিজ্ঞেস করলে উত্তর কি আসবে জানেন?
কোন কিছুই অসম্ভব না।
শুন্য থেকে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব হওয়া সম্ভব।
আমাদের ভাবনার বাইরে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আবিষ্কার হতে থাকবে।
প্রভূর কাছে যা অসম্ভব মানুষের কাছে সেটাই সম্ভব হতে পারে।
একলোক বলেছিলো তোমার বিজ্ঞান কি কোন মানুষকে সারাজীবন বাঁচিয়ে রাখতে পারে?
আমি বলেছিলাম এটা কোন প্রভূও পারবে না।
চ্যালেঞ্জ নিতে পারো।
সে আমাকে বলেছে মরার পরে বুঝবি।
আমি বলেছিলাম বিজ্ঞান এখনও সারা জীবন বাচিঁয়ে রাখতে পারেনা কিন্তু ভবিষ্যাতে পারবে।
মানুষ মরার পরে কিছুই বুঝতে পারেনা।
অগনিত সময় চলার পরে মহাবিশ্বের ক্রিয়াকলাপে আমার জন্ম হয়েছে, সেই পেছনের সময় আমি কিছুই বুঝতে পারিনি
একদিন আবার মহাবিশ্বের ধূলিকনা হবো কিছু বুঝতে পারবো না।
আমাদের প্রানের অস্তিত্ব মহাবিশ্বের অংশ।
কেউ আমাদের জন্য মহাবিশ্ব তৈরী করেনি।
এবার একটু ভাবুন,,
*/তীর-ধনুক, ঘোড়া আর পেশি শক্তির ইসলাম এখন বিমান-রকেটে চড়ে
*/রোগের জন্য দোয়া পড়ে ফুঁক দেয়া, বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া সে ইসলাম আর নেই। ছোটখাটো রোগে অকাল মৃত্যু একদম কমে গেছে। যুদ্ধে আহত হয়ে রক্তক্ষরনের কারনে মরে যেতে হয়না। রক্ত দেয়ার মতো একদম সহজ ও ছোট চিকিৎসা যে ইসলামে ছিল না সে ইসলাম আর নেই।
*/গন্ডায় গন্ডায় বিয়া, যৌন দাসী সহবৎ, বিধর্মীদের মেরে অর্থ সম্পদ সহ তাদের বউ-মেয়ে গনিমতের মালের নামে ভোগ ও বিক্রি করা করা ইসলাম আর নেই।
কেস খেয়ে যাবেন,,
*/ ইসলামের সূর্য আড়শের নিচে বা পঙ্কিম জলাশয়ে এখন আর অস্ত যায়না। গোল পৃথিবীতে সূর্য সব সময় এপাশ ওপাশ করে আলো দেয়।
*/ মরার খবর শুনতে, আয়াত নাযিল হতে , আবহাওয়ার খবর পেতে বিজ্ঞানের সেকেন্ড সময় লাগে।
উটের পিঠে শত ক্রোশ ছুটে খবর পৌছানোর ইসলাম নেই।
ঝাড় ফুক, তাবিজের ব্যাবহার হাজার শতাব্দি পেড়িয়ে এখন প্রায় বিদায়ের পথে।
এখানেই শেষ নয়।
বিজ্ঞানে মহাবিশ্বরের শুরু শেষের যে মাপকাঠী তাতে শুরু ও শেষ বলতে আমাদের জানার শুরু শেষ। মহাবিশ্বের নয়। শুরু শেষ মাহাবিশ্বে নেই।
মহাবিশ্বে সময় বলতেই কিছু ছিলনা। সময়ের তৈরী হয় এখানে। সেই সময়ের প্রয়োজনে তৈরী হওয়া অবজেক্টগুলো আবার ভিন্নকিছু তৈরী হবে।
ভিন্ন কিছু কি তা মানুষ চিন্তা করতে পারবে না।
মানুষ যা দেখেনি, জানেনি তা কল্পনা করতে পারেনা।
পেটে পাথর বেধে উট নিয়া শত ক্রোশ ছুটতে হয়না। ধ্যান-জ্ঞান লাগেনা।
যে দোয়া পড়লে ফেরেস্তারা এক সময় আরব মরুভূমির দস্যুদের থেকে নির্ভয়ে সহিহ সালমতে পার করে দিতো সেই ফেরেস্তা জানে এখন উটের পিঠে নয় গাড়ি ও প্লেনে করে দস্যুমুক্ত রুটে দ্রুত পার হওয়া যায়।