বয়কটের ডাক দিলে বাঙালি কট হয়ে যাবে

বয়কটের ডাক দিলে ভাল মত দিন।
ঈদের পরে বয়কটের ডাক দিয়ে লাভ নাই, মানুষ জানে ঈদের পরে কি হবে।
ঈদে ভারতে লাখ লাখ লোক শপিং করতে যায়, এরা কারা? আমেরিকার লোক?
চিকিৎসা ভিসায় ভারতে যায় কারা? ইহুদি নাসারা’রা?

সেবা দিতে যোগ্যতা লাগে, সেবা পেতেও যোগ্যতা লাগে, তেমনি বয়কট করতেও যোগ্যতা লাগে।
বাঙালিরা রন্দ্রে রন্দ্রে গুটিবাজ, ভাবে আমি সবাইকে উৎসাহিত করবো কিন্তু নিজে মানবো না, মাঝখান দিয়ে সবার একই দশা।

ভারতের সবকিছু বয়কট করলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হবে ১০ গুন।
এখন যে দাম আয়ের তুলনায, সেটা খরচ করতেই তো লাল সুতো বের হয়ে যায়।
ভারতের পন্য মানে শুধু পেয়াজ না।

ভারত থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য আমদানি হয়। দেশটি থেকে যেসব খাদ্য-পণ্য আমদানি হয় তার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেলসহ ভোজ্য-তেল, চিনি, মধু, কোমল পানীয়, চিপস, বিস্কুট, চকলেট ও ক্যান্ডি জাতীয় খাবার।

এছাড়াও বাংলাদেশে যা উৎপাদন হয় সব কিছুরই কাচামাল কোন না কোন ভাবে ভারত বা অমুসলিম দেশ থেকে আমদানি করা।
আমরা শুধু একটা জিনিস আমদানি করতে পারিনা, সেটা হচ্ছে জ্ঞান। আমরা ভিন্ন দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে ভাল কিছু শিখতে পারিনা, কারন আমাদের মাথার খুলি রয়েছে আরবে, পাকিস্তানে বা ভারতে।
তাই আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি হাটুতে।

পুরো বাঙালি জাতির হাটুতে অস্ত্রোপচার দরকার।

শ্যাম্পু, সিনে, থটিক ডিটারজেন্ট বেজড, টয়লেট সোপ, সিরামিক তৈজসপত্র, মিল্ক পাউডার এন্ড ক্রিম, লজেন্সেস, থ্রিপিস
লুঙ্গি, জুতা, পাঞ্জাবী, জামস (ফ্রুট প্রিজার্ভস), এন্ড জেলীস, সয়াবিন অয়েল, চিনি, ফ্রুট জুস, চীপস, মধু,
সস, সফ্ট ড্রিংস, ইন্সটান্ট ফুডড, এডিবল সানফ্লাওয়ার অয়েল, টুথপেষ্ট, লিপস্টিক, আফটার সেভ লোশন, কার্বনেটেড বেভারেজেস, জামাকাপড়, পেন্সিল, বল পেন ইত্যাদি। এছাড়াও বহু প্রডাক্ট আছে।

চোরাই পথে সারাদিন গরু চোরাই করে কারা? মোবাইল নিয়ে আসে কারা চোরাই পথে? বেশি বললে হয়তো ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।