ব্রাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষকের আচরন সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ড

ফিলোসফার আসিফ স্যারের পুরো বক্তব্যটা শুনতে হলো। এইরকম অসুস্থ লোকের ১২ মিনিট বক্তৃতা শোনা খুবই ধৈর্যের ব্যাপার। সপ্তম শ্রেণীর বইয়ের যে গল্পটা উনি বলছেন সেটা ছিল প্রাকৃতিক ত্রুটি সম্পন্ন মানুষদের নিয়ে। ফিলোসফার সাহেব বারবার বোঝাতে চেয়েছেন এটা সমকামিতার গল্প। সম্ভবত উনি ট্রান্সজেন্ডার বা ইন্টারসেক্স ব্যাপারটা বোঝেন না, অথচ উনি একজন ফিলোসফার।
ওই অধ্যায়টিকে বারবার সে ধর্মীয় অধ্যায়ে নিয়ে গেছেন। পাঠ্যবইয়ে শিল্প, সংস্কৃতি, ভাস্কর্য ও অন্য ধর্ম, জাতির ব্যাপারে লেখা থাকবে। মৌLoবাদী মনোভাব নিয়ে যদি কেউ বলে হিন্দুদের কথা থাকতে পারবেনা, Hizড়াদের সম্পর্কে কোন অধ্যায় থাকতে পারবে না, তাহলে বুঝতে হবে সেই বেকুব লোকগুলো কতটা স্বার্থপর মানুষ। এদের মাথায় সামপ্র*দায়িক চিন্তা ছারা অন্য কিছু আসেনা।
এটা জেনারেল পাঠ্য বই, কোন ধর্ম বই না, তাকে নতুন করে শেখাতে হবে।

বাংলাদেশের সংবিধান মতে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বসবাস করি। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আদিবাসী, Hizড়া সম্প্রদায় নিয়ে আমাদের বসবাস। সবার কথা রাষ্ট্র বলতে পারবেনা এটা কেমন কথা!
“সবার সম্পর্কে ছাত্ররা জানতে পারবেনা” এই ফিলোসোফি তো মানুষের ক্ষতি করে।
এই দেশে একটা Hizড়া সম্প্রদায়ের লোকের যে অধিকার, আমার আপনার সমান অধিকার।
আপনার আমার জীবন-যাপন, দুঃখ-কষ্টের সাথে তাদের কথাও বলতে হবে, জানতে হবে।

ছিড়ে ফেলা পৃষ্ঠা দুটিতে সুন্দর করে বোঝানো হয়েছে Hizড়াদের সামাজিক ও পারিবারিক বঞ্চনার কথা। গল্পটিতে উঠে এসেছে তাদের কষ্টের কথা। শিক্ষকের উচিৎ হচ্ছে এই অধ্যায় থেকে ছাত্রদের সঠিক শিক্ষা দেয়া। “ত্রুটিপূর্ণ লোকেরাও আমাদের মত মানুষ, আমাদের মত সমান কষ্ট অনুভব করে, তাদের সাথে আমাদের আচরন কেমন হবে সেই শিক্ষা ছিল ছাত্রদের জন্য জরুরী”।

ফিলোসফার আসিফ স্যার ও তাদের ভক্তরা বলতেছেন
বাকস্বাধীনতার কথা, নিজের দর্শন তুলে ধরার কথা।
এই শিক্ষক ও ভক্তদের জানিয়ে দিতে চাই “বাকস্বাধীনতা মানে অন্যের স্বাধীনতা হরণ করা নয়।

এদেশে অনেকে স্যার হয়েছেন, শিক্ষক হতে পারেন নি।

জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেমিনার দেখে প্রথমে ভাবছিলাম কোন ইসলামিক সমাবেশ।
এর আগে আমার এই শিক্ষক ফোরাম সম্পর্কে ধারনা ছিল না।
আসিফ স্যারের বক্তব্য ও দর্শক দেখে আমি ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে জানতে পারলাম-
“ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে”।

“ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ” এমন সংগঠনের মাধ্যমে প্রগতিশীল হওয়ার বদলে রাষ্ট্রের ভাল কাজ গুলোর বিরোধিতা করছে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
ফিলোসফার আসিফ স্যারের পরে যারা বক্তব্য দিয়েছে তারাও প্রায় একই কথা বলেছে। উপস্থিত সব বেকু*ব স্যারগুলো বক্তৃতার সময় হুক্কাহুয়া ডাক দিয়ে সমর্থন জানিয়েছে। এদের মধ্যে কি একজনও সচেতন শিক্ষক পাওয়া যাবে?

(দুঃখিত Hizড়া শব্দটা ব্যাবহার করার জন্য)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *