ব্রুনোর সময়ে পড়ে আছে বাংলাদেশ

আদালতে গ্যালিলিওর শেষ বাক্য ছিলো “E pur si muove” তবুও পৃথিবী ঘুরবে।

কোপার্নিকাসের মতবাদ প্রচার করার জন্য বিজ্ঞানি জর্দানো ব্রুনো’কে পুড়িয়ে হ*ত্যা করা হয়েছিল।
-তবুও পৃথিবী ঘুরছে।
গ্যালিলিওকে শাস্তি স্বরূপ বন্দী থাকা অবস্থায় প্রতিদিন বাইবেলের সাতটি করে শ্লোক তাকে উচ্চারন করতে হবে।
-তবুও পৃথিবী ঘূর্নন বন্ধ করেনি।
বিচারে গ্যালিলিওকে আদালত শাস্তি হিসেবে বলেছিল সূর্যকেন্দ্রিক পৃথিবী নিয়ে তিনি বই লিখতে পারবেন না।
-তবুও পৃথিবী ঘুরেছিল।
২০০০ সালে ভ্যাটিকান সিটির পোপ দ্বিতীয় জন পল একটি ফরমাল অ্যাপোলজি ইস্যু করে সারা বিশ্বকে জানিয়েছিলেন গ্যালিলিও কে নিয়ে ক্যাথলিকদের যে ট্রায়াল হয়েছিল ধর্মীয় আদালতে সেটা ছিল ভুল, অন্যায়। খ্রিস্ট ধর্মের সেই কাজের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আজ বাংলাদেশে যে সব কথা বলার জন্য কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে, মানুষকে জেলে ভরা হচ্ছে, হ*ত্যা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে হয়তো সেই কাজের জন্য ক্ষমা চাওয়া হবে। কোপার্নিকাস, ব্রুনো, গ্যালিলিওর যদি কণ্ঠ রোধ করা না হতো, পৃথিবী হয়তো আরও দ্রুত গতিতে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সভ্যতায় এগিয়ে যেত।

গ্যালিলিওর সেই ইতালি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ অবস্থান করছে সেই ব্রুনোর সময়কালে।

গ্যালিলিওর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নতি সাধন যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা।
তিনি বলেছিলেন- মানুষের চিন্তা শক্তিকে কে সীমা দিয়ে বাঁধতে পারে! এমন কে আছে যে বলতে পারে, বিশ্ব সম্বন্ধে আমি যা জানি তাছাড়া আর জানার কিছুই নেই?

লিখেছেন: শাহেদ বিন কাশেম