অধ্যাপক জাফর ইকবাল- আমেরিকার ডলারের ঝনঝনানি রেখেও দেশের টানে চলে এসেছিলেন। দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন অথচ তিনি এখন দেশে নিরাপদ নয়।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করে ক্যলিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি ও বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চে ১৮ বছর কাজ করেন। এই লোকের কপাল মন্দ থাকলে শিঘ্রই কোন টোকাই রাজনীতিবিদ অথবা ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রদের হাতে মার খেতে পারেন।
তিনি শিশু কিশোরদের একইসাথে সাহিত্য সচেতনতা, বিজ্ঞানমনস্ক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তোলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো তার বিরোধীতাকারীরা বিরোধের সঠিক কোন কারন জানেন না।
মমতাজ বেগম- লোকগান/ফোক/বাউল গানের সংগীত শিল্পী, অসংখ্য মৌলিক গানের স্রষ্টা, সুর সম্রাজ্ঞী বলে খ্যাতিমান। তিনি এখন চারজন হ ত্যা মামলার প্রধান আসামী। সে অপরাধী নাকি নির্দোষ সেটা বড় কথা নয়। তাকে রাস্তাঘাটে পেলে নিশ্চিত লোকজন তার গায়ের কাপড়ে হাত দিবে। কারা দিবে জানেন? যাদের বাপ-দাদারা এই মমতাজের গানে জীবনের সুর, সুখ-দুঃখ খুঁজে পেতেন তাদের সন্তানেরা।
গ্রামের অতি সাধারন মেয়ে মমতাজের সারাদেশে অনেক খ্যাতি থাকলেও তিনি যথাযথ সম্মান পেতেন না। কারন হিসেবে বলা যায় তার ‘জৌলুশহীনতা’।
শ্রোতারাই যেহেতু মমতাজকে বিখ্যাত বানিয়েছেন এবং সেই বিখ্যাত লোকের যেহেতু কোন প্রভাব নেই তাই জনগন মনে করতে থাকলো তাদের মনের মত করে চলতে হবে মমতাজকে, এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও। তাই রাজনীতিও তাকে বড় বিপদে ফেলে দিয়েছে।
অত্যন্ত হাস্যকর তাদের চিন্তা-ভাবনা। বাঙালি কখনো কাউকে সন্মান করে না, সন্মান করে একমাত্র বাধ্য হলে। শেখ হাসিনা মমতাজকে এম.পি বানিয়েছেন, এজন্য তাকে লাখো সালাম। কিছুটা হলেও তিনি সম্মানিত হয়েছিলেন।
মমতাজ এমপি না হলেও আজকের বাংলাদেশের
পরিস্থিতিতে তিনি একই রকম বিপদে থাকতেন।
শাহরিয়ার কবির- আওয়ামিলীগের রাজনীতি না করেও যিনি জাফর ইকবালের মতো আওয়ামী কালিমায় লেপ্টে আছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ৭০টিরও বেশি বই লেখা লোকটাকে এখন হ ত্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। সারাজীবন যিনি এই ভূখণ্ডের স্বাধীনতার ইতিহাস মানুষের সামনে বারবার তুলে ধরেছেন তার স্বাধীনতা এখন জেল খানায় বন্দী।
একজন লেখক, সাংবাদিক ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতার শেষ পরিনতি দেখে হয়তো বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আদর্শ লেখক আর কয়েক শত বছরেও জন্মাবে না।
বিশ্বাস করেন, এগুলো কোন মধ্যযুগীয় ঘটনা নয়। শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইউনুসের কর্মকাণ্ড ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের।
রাজনীতিবিদ, বড়লোক, গরীব, শিল্পি সহ সবাই দৌড়ায় আমেরিকা ইউরোপ আর জাফর ইকবালরা চলে আসে বাংলাদেশে। শাহরিয়ার কবিরের মতো লোকেরা পরে থাকে নিজ দেশে।
দেশের এই পরিস্থিতি তৈরী করেছে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ড. ইউনুস। দেশে এখন সর্বচ্চ খারাপ পরিস্থিতি চলছে অথচ ইউনুস হাসছে। কি কুৎসিত ওই হাসি!