সময়ের প্রয়োজন বুঝতে হয়

এদেশে জনপ্রিয় লোক অবসর নিতে চায় না।
হোক সে লেখক বা রাজনীতিবিদ।

লেখার মান খারাপ হয়ে যেতে পারে।
বয়সের সাথে চিন্তা চেতনাও বুড়ো হয়ে যেতে পারে।
একজন লেখকের এটা বিশ্বাস করা জরুরী।

তিল তিল করে গড়া পৃথিবীর সুন্দরতম জিনিসকেও মুহূর্তেই ধ্বংস করা যায়।

অনেক কিছু ধ্বংস করা যায় কিন্তু সবকিছু নষ্ট করা যায় না।
অতীত ধ্বংস নয় নষ্ট হয়ে যায়।
নষ্ট জিনিস মানব জাতি ও প্রকৃতির পছন্দ না।
সারা বছর সময় নিয়ে লেখা বইটা,
অবাঞ্চিত হয়ে যেতে পারে, একটা বাক্যের কারনে। এমনকি একটা শব্দের কারনে বৃথা হতে পারে লেখকের বই।

ধরুন হ্যারি পটার বইয়ের নাম–

“গাছের ডালে শাকচুন্নি”
“ছোট্ট সোনামণির পটার ভাই”
“পটারের লাঠির যাদু, পালালো জ্বিন দাদু”
“বোতল বন্দি জ্বীন”
“ভূতের মেলা/ জ্বীনের মেলা”
“আব্বাস সাহেবের দূরন্ত ছেলে”
“কে সাহসী, ভুত নাকি পটার?”
“ভয়ংকর ১৮ ভূতের গল্প”……..
-এরকম যদি হতো তবে ভূত বইয়ের বইয়ের ভেতরে নয়, বাইরে চলে আসতো।

যাদুর গল্পের বইয়ে যাদু/ভুত লেখা মানেই স্বার্থক নয়।
মলাটের মধ্য থেকে বাইরের কভারে ভুত বেরিয়ে আসলে পড়ার ইচ্ছাই থাকেনা, ভূত দর্শন হয়ে যায়।

আমাদের ইউনিভার্সে সময় সবকিছুকে নষ্ট করে দেয়।
তেমনি সময় নষ্ট করে শরীর- কোষ।
শরীর ও কোষ নষ্ট করে চিন্তা।

সবকিছুরই শেষ আছে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
মহাবিশ্বে আমরা যেখানে অবস্থান করি এখানে সময় সৃষ্টি হয়েছে বহু আগে, আবার শেষ হয়ে যাবে।
এই সময় জ্ঞান আমাদের মস্তিষ্ক খুব ভালবাবেই রিসিভ করে, বেক্ষাপ্পা মনে হলে নট বি রিসিভ,,,, বিরক্তি।

সবকিছু একদিন শেষ হয়ে যায়
এটা আমরা বুঝেও মানতে পারিনা।

শৈশব-কৌশরের শেষ, যৌবনের শেষ আমাদের মানতে হয়।
আমাদের আচরনের পরিবর্তন করে সেটা বুঝিয়ে দিতে হয়।
ইচ্ছে করলেও যৌবনে আমরা শিশুদের মতো আচরন করিনা, ঠিক বার্ধক্যতে আবার যৌবনের আচরন করিনা।
এটা সময় জ্ঞান।

যৌবনের তেজ” কবিতা লিখে যৌবনকে উদ্দীপ্ত করা যায়

“বার্ধক্যের উদ্দীপ্ত” কোন কবিতা হয়না।

বার্ধক্যকে যত মলিন করা যায় সৌন্দর্য ততই বাড়ে।

ভারতের সুচিত্রা সেন আমার কাছে চির যৌবনা,
অমর, অনুকরনীয়, অন্যের সুখে সুখী, আত্নত্যাগের পিয়াসী এক মহীয়সী নারী।
উনি মানুষের আলগা ভালবাসার দরদ দূরে ঠেলে যৌবন করেছে অমর।

হাজার তরুনের স্বপ্ন স্থির রেখেছেন।
মিথ্যে মোহ’কে ছুরে ফেলে
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ভালবাসা নিতে পেরেছেন।

চেহারা দিয়ে যখন ফেমাস হতে হয় তখন চেহারা লুকানো কঠিন। নায়িকার চেহারার মতো লেখকের চেহারাও বদলে যেতে পারে।
লেখক চাইলে সহজেই তার যৌবন চেহারার লাগাম টানতে পারেন।

সময় ও প্রকৃতির নিয়মে “জোয়ার-ভাটা” হয় কিন্তু
“ভাটা -জোয়ার হয়না।
এই জোয়ার-ভাটাকে ভাটা-জোয়ার করার সৌন্দর্য হীন চেষ্টা করা ছিন্নমূল/কাঙাল, দারিদ্র লেখকের যুক্তি।
তর্ক যুক্তি নিরর্থক।
জীব রুপকে ভালবাসে যুক্তির চেয়ে।