যে দেশে কবুল, কবুল, কবুল, বললেই বিয়ে হয়ে যায় সে দেশে তালাক, তালাক, তালাক বললেই বিয়ে ভেঙে যায়। তাদের কাছ থেকেই শিখতে হবে আপনাকে- লিভ টুগেদার খারাপ, কমিটমেন্টের কোন দামই নাই, এসব পাপ কাজ।
বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিলের নামে ঘৃনা বিদ্বেষ এত বেশি ছড়ানো হচ্ছে যে তা ছড়িয়ে গেছে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে। আমাদের দেশের মুসলমানরা ধর্ম বলতে বুঝে শুধু অন্য ধর্মের লোকদের খারাপ ভাবা। ভিন্ন সংস্কৃতিকে তারা ঘৃনা করে। এমনকি দেশীয় সংস্কৃতিকেও তারা ঘৃনা করে। সংস্কৃতি চর্চা করা লোকদের তারা প্রতিনিয়ত আঘাত করেই যাচ্ছে।
মোল্লাদের ওয়াজের মূল বিষয় হচ্ছে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, কাফের ফতোয়া দেয়া, নাস্তিকের কল্লা ফেলে দেয়া, ভাষ্কর্য ভাঙ্গা, ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামীদের হত্যা করা, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কটাক্ষ করা।
দেশে স্কুল কলেজের চেয়ে মাদ্রাসার সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলছে। এইসব মাদ্রাসা থেকে ছাত্ররা ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া কিছুই শিখছে না। পরবর্তিতে এই ছাত্ররাই আবার ধর্মীয় শিক্ষা শেষ করে নতুন করে মাদ্রাসা তৈরী করছে। দান-সদকা, ইমামতি, ওয়াজ মাহফিল ছাড়া যেহেতু এদের কোন জ্ঞান নেই তাই সমাজে এরা এক প্রকার পরজীবি হয়ে বেঁচে আছে।
ওয়াজ মাহফিলের প্রভাবে সমাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এখন মৌলবাদী চিন্তা চেতনা লালন করে। এরা মনে করে ইসলাম ধর্মীয়গ্রন্থ হচ্ছে বিজ্ঞানের মূল উৎস, তাই তারা সব ধরনের বিজ্ঞানিদের কটাক্ষ করে। ধর্মের বাইরে এরা কোনকিছুই গ্রহন করতে প্রস্তুত নয়। এমনকি বাংলা সংস্কৃতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও তারা মেনে নিতে পারেনি।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইসলামে নেই। অনেক ব্লগারকে তারা হত্যা করেছে। মৃত্যুর ভয়ে অনেকে দেশ থেকে পালিয়েছে। শত শত ব্লগার নিজ দেশ, পরিবার ছেড়ে নির্বাসনে রয়েছে। বহু বই নিষিদ্ধ হয়েছে। জ্ঞান চর্চা করা ও-দেশে পাপ, কিন্তু ধর্মের নামে মানুষ হত্যা স্বীকৃত।
মরার পরে যারা জান্নাতের আশা করে দুনিয়াকে তারা জাহান্নাম বানিয়ে ফেলে। জীবনের মূল্য তাদের কাছে নেই কারন তারা মনে করে এই জীবনটা মূল বিষয় নয়। এদের উগ্রতা এতটাই ক্ষিপ্র যে তারা নিজেদের জীবনটা তুচ্ছ মনে করে আক্রমন করে। যার কাছে জীবনের দাম নাই, জীবনকে ভালবাসে না তারা সব ধরনের উগ্রতা করতে প্রস্তুত।
লেখক: শাহেদ বিন কাশেম
ফেসবুক লিংক- https://www.facebook.com/share/fGECRfeFmkR7mBgP/?mibextid=qi2Omg