রমজান মাসে বাংলাদেশের চিত্র

ক্লাসে গিয়ে যখন শিক্ষক বলেন আমি গতকাল তোমাদের কি পড়িয়েছিলাম, সবাই বলো।
ছাত্ররা তখন সমস্বরে জবাব দেয়- যা শিখেছিল এবং মুখস্ত করেছিল।
শয়তান সারা বছর মানুষকে যা শিখায় রমজানের এক মাস বাংলাদেশিদের এক যোগে তা পালন করার হিড়িক দেখা যায়।
মাবুদের কাছে বলি, ইয়া মাবুদ তুমি শয়তানকে বেঁধে রেখোনা, এক শয়তান লোকান্তরে তো লক্ষ শয়তান দেখা যায় ঘরে ঘরে।

নিম্ন আয়ের মানুষ যখন সন্তানকে ঈদের খুশির জন্য কাপড়, জুতা কিনে দিতে যায় তখন ব্যাবসায়ীরা সারা বছর জমানো টাকার ধস নামিয়ে দেয়। সারা বছর তিল তিল করে জমানো টাকার ধস নামে অথবা কর্য করে মানুষ রমজান পালন করে। তারপরও কোন পক্ষই খুশি নয়। এক যোগে সবাই যদি দূর্নীতিবাজ হয় তবে খুশি থাকার কথাও না। এজন্য ঈদের সময় শুধু বাচ্চারাই খুশি হয়। যখন থেকে পরিবারের দ্বায়ীত্ব আপনি নিবেন তখন থেকে রমজান ও ঈদ আপনার কাছে টেনশনের কারন হয়ে দাড়াবে।

দূর্নীতিবাজরা সারা বছর দূর্নীতি করে রমজান মাসে কিছু দান ছদকা দিয়ে পুরো দমে আবার মাঠে নামে।
তারা মনে করে আমার সব পাপ কাটা গেছে।
রমজানে তাদের কাঁধে দেখা যায় জায়নামাজ, হাতে দেখা যায় তসবিহ, মাথায় থাকে টুপি, শরীর থেকে আতরের গন্ধে মৌ মৌ অবস্থা। আমি তাদের শরীর থেকে আতরের গন্ধ নয়, মরা মানুষের গন্ধ পেতাম।

পেটের ক্ষুধা সন্ধ্যায় কেটে যায় কিন্তু দূর্নীতির ক্ষুধা তাদের কখনই কাটে না। গরীবের কষ্ট বোঝার জন্য একদিকে রোজা রাখে অন্য দিকে গরীবের টাকাই চোষে। এইদিকে গরীব সারা বছরের ক্ষুধার জ্বালা সয়ে রমজানে এক্সট্রা জ্বালা সয়।
ইয়া মাবুদ, তুমি গরীবদের পৃথিবীতে রেখো না, অন্তত বাংলাদেশে রেখো না, তুমি গরীব মারো নয়তো দয়া করো। পৃথিবীটা হয় মানুষের করো নয়তো দূর্নীতিবাজের, দুপক্ষ একই যায়গায় রেখোনা।