ছাত্র রাজনীতির কি দরকার আছে বাংলাদেশে?

ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে একটু আলোচনা করি-
যাদের কোন রাজনৈতিক জ্ঞানে পরিপক্বতা আসেনাই রাজনীতি করলে তাদের কাজটা কি হবে?

-নেতার চামচামি করা?
-পড়াশোনার ক্ষতি করা?
-বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করা?
-নেতার বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে পেটানো?
-চান্দাবাজি করা?
-কারন ছাড়াই মিছিল দেয়া?
-সভা সমাবেশে লোক ধরে আনা?
-নেতাদের কথায় পিটাপিটি করা?
-পদ নিয়ে গ্রুপিং করা?
-বেকার থাকার শিক্ষা নেয়া?
-বেকার থাকার পরেও টাকা পয়সা ইনকামের ১০১ উপায় জানা?
-হল ও ভূমি দখলদারি করা?
-ভূয়া আদর্শের স্লোগানে স্লোগানে শহিদ হয়ে যাওয়া?
-নিজের দলকে টিকিয়ে রাখার জন্য বোমা মারা?
-সারাদিন নেতাদের প্রশংসা করা?

কি হবে তাদের কাজ, বলতে পারেন?

অনেকে বলতে পারে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে আপনি বেশিকিছু জানেন না। আরে ভাই.. জানি।
আপনিও জানেন স্বাধীন দেশে ছাত্র রাজনীতির দরকার নেই। স্ব দলের ছাত্ররা নিজ নিজ দলের কোন ভুল জীবনেও খুজে পাবেনা বরং এরা নিজ দলের কৃত কু-কর্ম ঢাকার জন্য খুনোখুনি করবে।
রাজনীতি না করলেও আন্দলন করা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলা যায়। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ থাকলে সঠিক আন্দলনে ছাত্রদের বেশি পাওয়া যেতো।
আমি রাজনীতি করার বিরুদ্ধে নই।
সঠিক রাজনীতিবিদ পেতে হলে ছাত্রদের পড়াশোনার সুযোগ দিতে হবে।

বর্তমান ছাত্ররা শেখার আগেই নির্বোধ মানুষ হিসেবে তৈরী হয়ে যায়, ছাত্র রাজনীতির কল্যানে। এই মঞ্চে শেখানো হয় জ্ঞান নয়, শক্তির প্রয়োগ করো। এখান থেকে শিখতে পারে কিভাবে অন্যের মাতামতের বদলে হাঙ্গামা করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যখন যৌক্তিক আন্দলন করে তখন সেখানে বেশি ছাত্র থাকেনা, সেই যৌক্তিক আন্দলনের ওপর কিভাবে হামলা করতে হয় তা ভাল করেই শিখেছে ছাত্র রাজনীতি করা ছেলেরা।

এরা পিতামাতার দোষ খুজে পাবে কিন্তু যাদের রাজনৈতিক অবিভাবক মনে করে তাদের দোষ কস্মিন কালেও খুজে পাবে না।

ছাত্র রাজনীতি আর আগের মত নেই।
যখন দেশ পরাধীন ছিল তখন শত্রু চিনতো, অধিকার বুঝতো, দলের চেয়ে দেশের স্বার্থ বেশি বুঝতো। এখন শত্রুও চিনেনা মিত্রও চিনেনা। চিনে “তোমার নেতা আমার নেতা” এর বাইরে কিছু নাইৃ।

কিশোর গ্যাং কারা জানেন?
যারা কোন দল করেনা কিন্তু মাস্তানি করে।
তবে এই গ্যাং লিডারদের অল্প বিস্তর কিছু
ছাত্রলীগ/ছাত্রদলের সাথে সখ্যতা থাকে কিন্তু কোন পোস্ট পজিশন থাকেনা।

দল করলে তারা হয় ছাত্রলীগ না হয় ছাত্রদল, তখন আর কিশোর গ্যাং নয়। সব কিশোর ও উঠতি বয়সি ছাত্রলীগের কর্মীরা মাস্তানি করে, তখন তাদের গ্যাং বলার সাহস থাকেনা কারো। এমনকি পুলিশেরও এই সাহস নেই। তাহলে দল অখুশি হয়ে যাবে।

নিউজে দেখলাম বিপুল পরিমান কিশোর গ্যাং উদ্ধার করেছে RAB বাহিনী। পুলিশ আবার মামলার বাইরে যায় না। তাই RAB এর হস্তক্ষেপ লাগে।
মাসোয়ারা খাওয়া পুলিশ, গুন্ডা পালন করা পুলিশের কৈফিয়ৎ না দেয়ার সহজ উপায় হচ্ছে RAB বাহিনী।

সম্প্রতি কিশোর গ্যাং এর ৩৭ জনকে RAB গ্রেফতার করেছে রাজধানী থেকে। https://www.facebook.com/share/v/bNtU7QMm1PoCRHoS/?mibextid=oFDknk

এই গ্যাং তৈরী হয় কেনো? এর নেপথ্যের আসল করান কি? মানুষ কেনো এত পেশি শক্তির বিস্তার করতে চায়? একটাই কারন সেটা “ছাত্র রজনীতি এবং রাজনীতি”।

ছবি ক্রেডিট: DBC