বিবি আয়েশা বনাম নবীর ছলচাতুরী

শাহেদ বিন কাশেম

হযরত মুহাম্মদের ইচ্ছে হলেই বিয়ে করতে পারতেন, সেটা ছয় বছরের শিশু হলেও। নবীর ইচ্ছে হলে আল্লা নিষেধ করতেন না। বরং আল্লার কঠোর হুশিয়ারী ছিলো নবীর কথা অমান্যকারীর জন্য। আয়েশাকে ছলনা করে বিয়ে করার কিছু সহীহ্ হাদীস তুলে ধরলাম…

সহী বুখারী, ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮
উরসা থেকে বর্নিত- নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানালেন। আবু বকর বললেন- আমি তোমার ভাই , এটা কিভাবে সম্ভব? নবী উত্তর দিলেন- আল্লার ধর্ম ও কিতাব মোতাবেক আমি তোমার ভাই, রক্ত সম্পর্কিত ভাই না, তাই আয়শাকে আমি বিয়ে করতে পারি।

সহী বুখারী, ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫
আয়েশা হতে বর্নিত- মহানবী তাকে ছয় বছর বয়েসে বিয়ে করেন, নয় বছর বছর বযেসে তাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। হিসাম জানিয়েছিল- আমি জেনেছি আয়েশা মহানবীর মূত্যুর আগ পর্যন্ত নয় বছর যাবত বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।

সহী বুখারী, ভলুম-০৯, বই- ৮৭, হাদিস নং-১৪০
আয়েশা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন, তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি স্বপ্নে তোমাকে দুই বার দেখেছি।এক ফিরিস্তা সিল্কে মোড়ানো একটা বস্তু এনে আমাকে বলল- এটা খুলুন ও গ্রহন করুন , এটা আপনার জন্য। আমি মনে মনে বললাম- যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় এটা অবশ্যই ঘটবে। তখন আমি সিল্কের আবরন উন্মোচন করলাম ও তোমাকে তার ভিতর দেখলাম। আমি আবার বললাম যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় তাহলে এটা অবশ্যই ঘটবে।

কোরান শরিফ ও হাদীস শরিফকে বিয়ে করার ১০১ টি উপায়ের বই হিসেবে পাব্লিস্ট করলে ভাল হত। নিজের পুত্রবধূকে বিয়ে করার কাজী ছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। কোরানের আয়াত নাজিল করে আল্লাহ এই মহৎ কাজটি করেছে।

মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য এর চেয়ে আল্লাহর কাছে আর ভাল কোন উপায় ছিল না।

এ এক মূর্খ আল্লার উপাসনা করে যাচ্ছে মানুষ দিনের পর দিন। এই আল্লাহর চেয়ে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বেশি। যতকিছু মন্দ আছে সব দ্বায়ভার মানুষের আর যা কিছু ভাল সব ক্রেডিট আল্লার। এ কেমন আল্লা! যে আল্লা শুধু প্রশংসা নিতে ব্যাস্ত।

আমাদের সাত আসমানের আল্লার চেয়ে ভাল মানুষ বেশি দরকার। ওই আল্লার দরজা আমাদের জন্য বন্ধ, তাই তার প্রশংসা করাও আমাদের বন্ধ করতে হবে।

E-mail: [email protected]