প্রতিটা ওয়ার্ডে, পাড়া-মহল্লায় কোটি কোটি টাকার মসজিদ। টাইলস করা মসজিদ, দুই তলা, তিন তলা সহ রং বেরং এর মসজিদ। সাধারন মানুষের কাছে টাকা নেই। কিন্তু এত কোটি কোটি টাকার মসজিদ আসে কোথা থেকে? আপনিও জানেন এর উত্তর।
যত দূর্নীতিবাজ মানুষ আছে এরা কোটি টাকা অনুদান দেয়, স্বভাপতি হয়, সেক্রেটারি হয়। কিন্তু এই লোকগুলো ভাল হয়না, দূর্নীতি কমায় না। কেনো জানেন? কারন ওয়াজ মাহফিলের ফলাফল।
ওয়াজীদের টাকা দিলে বহু ফতোয়া পাওয়া যায়। তারা লাখ টাকা বখশিশ নিয়ে ওয়াজ করে- “আপনি ঘুষ নিন, দূর্নীতি করুন, যে অপরাধই করুন আপনাকে নামায পড়তে হবে”। নামাজ পড়লে আল্লাহ সব গুনা মাফ করে দিবেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা করে দিবেন!
এজন্যই দূর্নীতিবাজরা টাকার পাহাড় গড়ে কিছু টাকা দান খয়রাত করে, মায়ের নামে, বাবার নামে মসজিদ করে। শেষ বয়সে মসজিদের স্বভাপতি হয়। তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে অন্যায় যতই করুক দান করলে এবং আল্লার কাছে ক্ষমা চাইলেই সব শেষ।
এইসব ওয়াজীদের, ধর্ম ব্যাবসায়ীদের শিঘ্রই হটানো দরকার। এরা আপনার আমার ধর্ম নিয়ে আমাদেরকেই বোঁকা বানাচ্ছে। আপনি আমি ধর্মগ্রন্থ থেকে শিখতে পারবো, আমার প্রভূকে ডাকার জন্য অন্য কাউকে দরকার নেই, অন্য কারো দোয়ার দরকার নেই।
ক্রিকেটার’রা না পারে ধর্ম কর্ম করতে, না পারে খেলতে।
শেষ বয়সে এসে এই ক্রিকেটারেরা ফতোয়া দিবে, “ক্রিকেট খেলা হারাম”। এতদিন ক্রিকেট খেলে ভুল করেছে, প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে একটা মসজিদ করে টাকাকে হালাল করে নিবে। এই ধরনের মানষীকতার লোক আমাদের বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করছে, এটা লজ্জা। তানজিম সাকিব সহ সব কয়টা উগ্রবাদী’দের কান ধরে দল থেকে বের করে দেয়া উচিত। এরা হয়তো কোন সভ্যতা শিখতে পারেনি অথবা রক্তের দোষ। পৃথিবী আমাদের না চিনুক সমস্যা নেই কিন্তু তারা আমাদের যেনো অসভ্য জাতি হিসেবে না চিনে।
সৌদি আরবের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেশি ধর্মান্ধ। কথায় আছে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি।
অথচ সৌদিরা আমাদের মিসকিন ভাবে। তারা ভাবে আমরা সহীহ্ মোসোলমান না, আমরা নাকি হিন্দু থেকে ডাইভার্ট হওয়া মুসলমান।
জানতে পারলাম সৌদি আরবে সবথেকে নিম্নমানের কাজ করে বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত, নেপাল, পাকিস্তানিরা ভাল অবস্থায় আছে। রাস্তা ঝাড়ু দেয়া থেকে ড্রেনের কাজ, সবখানেই বাংলাদেশি। সৌদি শেখেরা নারী নির্যাতন তো করেই, কাজ করতে যাওয়া পুরুষদেরও ধর্ষন করে। বাংলাদেশিদের কোন কথা সেখানকার পুলিশ পাত্তা দেয়না, এমনকি স্বয়ং বাংলাদেশি এ্যাম্বাসি নিজ দেশের লোক বিপদে পরলেও এগিয়ে আসেনা।
যাই হোক, আরবি আল্লাহর ভাষা না, এটা সৌদি আরবের ভাষা। আল্লাহ সব ভাষাই বোঝেন। তিনি কেবল সৌদি ভাষায় মানুষকে বার্তা দিয়েছেন। আপনি সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় কথা বলুন, বাংলায় আল্লাকে ডাকুন, আল্লাহ বাংলা বুঝবেন। সৌদি আরবের লোক মানেই ভাল লোক, ধার্মীক মানেই ভাল লোক, ক্রিকেটার মানেই ভাল লোক এমনটা নাও হতে পারে।
যে সৌদিরা আমাদের মানুষ মনে করেনা তারাও কথায় কথায় আলহামদুলিল্লাহ, জাযাকাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ বলেনা। আমি যদি জিজ্ঞেস করি আপনি কেমন আছেন- আলহামদুলিল্লাহ বললে সেটার উত্তর হয়না। আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি জানেন? জেনেশুনে বলুন। বাংলায় বলুন।
সৌদি ফুটবল প্লেয়ার, শরিয়া আইনের দেশ আফগানিস্তানি ক্রিকেট প্লেয়ার, এদের কারো মুখেই দাড়ি নেই। দাড়ি থাকা দোষের কিছু না, তবে খেলার মাঠ’টাকে তাবলীগ জামায়াত বানানো কোন ভাল কাজ না। যারা লক্ষ্যে থাকে তাদেরকেই আল্লাহ সাহায্য করে। আমাদের বিজয়ের খুশিতে আল্লাহ নিশ্চই রাগ হবেন না।
সব ভন্ডদের চিনে রাখুন, প্রতিবাদ করুন, এদের হটাতে হবে, এদের শিক্ষা দিতে হবে, এদের যোগ্য করতে হবে।