ভারতে হাজার হাজার নারীরা ঘুরতে যায়। ধরুন একদিন কোন এক নারী ভারতে গিয়ে ধর্ষনের স্বীকার হলো। বাংলাদেশের আম জনতার কথা চিন্তা করুন, তারা দেশে কি কান্ড কারখানা করবে?
২০১৯ সালে ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের অভিযোগে সে বছর ৯০০ জনের মতো বাংলাদেশী নারী গৃহকর্মি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত এসেছিলেন। নারী শ্রমিকদের মৃতদেহ দেশে আসার সংখ্যাও বেড়েছে। এই বিষয়টি আরো বেশি উদ্বেগজনক।
সৌদি আরবে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালে “নারী গৃহকর্মি পাঠানোর শর্তে সেই বাজার খুলেছিলো”। আবার খেয়াল করুন শর্ত টা….
সে বছর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশী নারী গৃহকর্মির ৪৮ জনের মৃতদেহ দেশে আনা হয়। তাদের মধ্যে ২০ জনই সৌদি আরবে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেছেন।
আবার খেয়াল করুন ২০ জন আত্মহত্যা করেছে….
শুধু যৌন হয়রানি নয়-
২০১৮-১৯-২০ সালে সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেছেন ১২ জন নারী, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফিরছেন ৬৫ জন নারী। ২০ সালে ১ বছরে সৌদি থেকে কারামুক্ত হয়ে ফিরছেন ৫ হাজার নারী গৃহকর্মী। এইসব তথ্য কি আপনার জানা আছে?
মিডিয়া থেকে শুরু করে সরকারও এই ব্যাপারে একদম উদাসীন। এত ভয়ংকর তথ্য কেনো আমাদের মধ্যে কোন প্রভাব ফেলছে না? দেশটা সৌদি আরব বলে?
বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী নারী শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয় বেশি নির্যাতন হচ্ছে সৌদি আরবে কিন্তু কেনো? কেনো কোন প্রতিবাদ নেই? কেনো? কেনো?
বিবিসি, ও ব্রাকের মাত্র ২/৩ বছরের সৌদি আরবে নারী নির্যাতনে তথ্য দেখে আমি নিজেই মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার মত অবস্থা….
আমার আর পুরনো তথ্য ঘাটতে ইচ্ছে করছে না।
আমরা কোন্ রেমিটেন্সের ওপর দাড়িয়ে আছি? আমাদের কি অসভ্য সৌদিতে মা-বোনদের ইজ্জত বিক্রি করে দিয়ে রেমিটেন্স দরকার?
বিদেশে বাংলাদেশি এ্যাম্বাসি গুলোর কাজ কি জানেন? আপনি জানেন না, প্রবাসীরা জানে। ওই শুওর গুলোর কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রের টাকা গেলা। কোন প্রবাসীর বিপদে বাংলাদেশি এ্যাম্বাসির সাহায্য পাওয়া যায়না। কুত্তা দেশে থাকলেও কুত্তা আর বিদেশ থাকলেও কুত্তা
(লেখাটা ২৮ এপ্রিল ২০২২ এর)